এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়াঃ
কলাপাড়ায় জমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করার চেষ্টা, ৬ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি। দাবিকৃত টাকা না পেলে জমি থেকে চলে না যাওয়ার হুমকি। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামের ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কাজল বাদী হয়ে কলাপাড়া উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সোমবার (১ এপ্রিল) একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।
কাজল মামলায় উল্লেখ করেন, কলাপাড়া থানাধীন জে,এল নং-৫/৪১ টুঙ্গিবাড়িয়া মৌজার এস, এ ৩৫৫নং খতিয়ানের এস, এ ৩৫৮৮সহ অপর ৮টি দাগের অংশে যাহার বি.এস ৬১২২নং খতিয়ানের বি, এস ৬৩১৪নং সহ অপর ২টি দাগের অংশে আমার মাতার নামীয় বিগত ইং ১১/৬/২০০৯ তারিখে খেপুপাড়া এস, আর অফিসের ৩২৮৪নং সাব কবলা দলিল মুলে ০.১০ একর সম্পত্তির মালিক বিদ্যমান থাকিয়া উক্ত সম্পত্তিতে বাড়ী, ঘর, দোকান, বাগান, পুকুর করে গাছপালা লাগাইয়া দীর্ঘ বছর যাবত শান্তিপূর্ণভাবে ভোগবান মালিক দাখিলকার নিযুক্ত আছি।
তিনি বলেন, একই গ্রামের মোসা: রাজিয়া বেগমের অন্য কোন জায়গা জমি না থাকায় আমার মা ভোগদখলীয় ভূমিতে মানবিক কারণে থাকতে দিলে দূর্লোভের বসবর্তী হয়ে ক্ষতি করার পায়তারা করে পাঁচ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবী করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ৩০/০৩/২০২৪ শনিবার বিকাল ৩ টায় একই গ্রামের মো: আবদুল হাই (আবু প্যাদা), মোঃ রিফাত প্যাদা, মোসা: রাজিয়া বেগম, মোঃ মজিবর সিকদার, মোঃ ওবায়দুল, রফিকুল ইসলাম, মোঃ আঃ ছালাম সিকদার ও এনায়েত আমার তফসিলকৃত ভূমির উপরে নুতন করে বসত ঘর করার জন্য কাঠ, বাঁশ, দা, ছেনা ইত্যাদি মালামালসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাতে আমি সহ কতিপয় স্বাক্ষীগণ বাধা দিলে তারা একজোট হয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
চতুর্দিক থেকে বের দিয়ে দা ও বাঁশের লাঠি দিয়ে কাজলের মা মাহমুদা বেগম ও তার বোনের মেয়ে মোসাঃ লামিয়া আক্তার কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এবং কাজলের গলায় ওড়না প্যাচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করেন। এতে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম হন।
এসময় মোঃ রিফাত প্যাদা মোসাঃ লামিয়া আক্তারের গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন জোড় পূর্বক ছিনাইয়া নেয়। খুন জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন যে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে জমি থেকে চলে যাইবে না এবং নিজেরা নিজেদেরেকে কোপাইয়া এবং দোকান ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়া ও মালামাল সরাইয়া কাজলের পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজত খাটাইবে বলে হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি.আর ৫৫০/২৩ নং মামলা আনায়ন করেন। মামলার বিষয় কলাপাড়া থানায় তদন্ত দেন এবং উক্ত মামলার বিষয় সত্যতা যাচাই করে তদন্ত প্রতিবেদন দিলে উক্ত মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান থাকা অবস্থায় তাদের অকথ্য ভাষায় গালীগালাজ ও বিজ্ঞ আদালত থেকে মামলা তুলে আনার জন্য ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করেন।